হরিণাকুণ্ডুতে বাবার মতোই ক্লিনিক মালিককে গুলি করে হত্যা
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শহরের আনোয়ারা প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক নজরুল ইসলামকে (৪৫) গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার ছাইভাঙ্গা মাঠে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত নজরুল উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। লুৎফর খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০ বছর আগে তাঁকে সন্ত্রাসীরা নিজ বাড়িতে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আতিয়ার রহমান নজরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের ধারণা পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, দুপুরের খাবার শেষে নজরুল মোটরসাইকেলে করে হরিণাকুণ্ডু শহরে আসছিলেন। তিওরবিলা গ্রামের ছাইভাঙ্গা মাঠে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁকে প্রথমে গুলি করে এবং পরে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং বিকেল ৫টার দিকে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিহত নজরুল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে মুস্তাফিজুর রহমান জয়লাভ করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন লাল মিয়া।
২০ বছর আগে নজরুল ইসলামের বাবা লুৎফর রহমানকেও একইভাবে হত্যা করা হয়। সেই হত্যা মামলায় ১৭ বছর সাজা ভোগ করে তিওরবিলা গ্রামের ঝড় মণ্ডলের ছেলে ওল্টু সম্প্রতি জেল বের হয়ে আসেন। তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লাল মিয়ার সমর্থক ছিলেন।
আরেকটি সূত্র জানায়, একটি অপহরণ মামলায় কারাভোগের পর দুই মাস আগে নিহত নজরুল জামিনে মুক্তি পান।
নজরুল হত্যাকাণ্ডে এসব ঘটনার জের থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।