নদীতীর দখল করে বিআইডব্লিউটিএর স্টল নির্মাণ!
পটুয়াখালী নদীবন্দর ভবনের উত্তর পাশে লঞ্চঘাটে যেতে সিঁড়ির মাঝখানে জেগে ওঠা ডুবোচরের অনেকটা অংশ দখল করে ইটের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। ছবি : এনটিভি
নদীর গতিপথ ঠিক রাখা, নদীর তীরভূমি দখলমুক্ত রাখা যাদের দায়িত্ব, সেই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষই (বিআইডব্লিউটিএ) কিনা এবার নদী ভরাট করে স্টল নির্মাণ করছে। পটুয়াখালী নদীবন্দর ভবনের বাইরে নদীর তীরভূমি দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে এ স্টল।
অভিযোগ রয়েছে, পটুয়াখালী নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক একটি পক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে এ কাজটি করছেন। এই স্থাপনাটি স্টল হিসেবে ভাড়া দেওয়া হবে। যদিও বলা হচ্ছে, এখানে বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশল বিভাগ বাগান নির্মাণ করছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটুয়াখালী নদীবন্দর ভবনের উত্তর পাশে লঞ্চঘাটে যেতে সিঁড়ির মাঝখানে জেগে ওঠা ডুবোচরের অনেকটা অংশ দখল করে ইটের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় ঘাটশ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, এই স্থানে মনে হয় স্টল নির্মাণ করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর আইন অনুযায়ী, নদীর জোয়ারের সর্বোচ্চ সীমার স্থান থেকে ১৫০ ফুট পর্যন্ত নদীর তীরভূমি হিসেবে গণ্য হবে। আর এই স্থানে কোনো ধরনের কাঁচা ও পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।
এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক নিজেই ফুলের বাগান তৈরির নাম করে তীরভূমির বিশাল একটি অংশে কংক্রিটের দেয়াল তৈরি করছেন।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এটি আমার কাজ নয়, বরিশালে প্রকৌশল বিভাগের কাছে যান, এটি তাদের বিষয়। এ ছাড়া এটা অন্যের জায়গা নয়, আমাদের নিজস্ব জমিতেই বাগান নির্মাণ করা হচ্ছে।’
তবে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক এ কে এম শামিমুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।’