প্রকৌশলী হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন
মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখান থানার রাজানগরের প্রকৌশলী আসাদ খন্দকার হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া রায়ে মামলার আরো তিন আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং বাকি ১০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহাবুবুর রহমান।
রায় ঘোষণার পর নিহতের বোন তরুলতা তা প্রত্যাখ্যান করে আদালত ভবনের পঞ্চম তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই সময় দুই ব্যক্তি তাঁকে ধরে ফেলেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মহসীন খান ,আলমগীর হোসেন ও সাগর। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের দণ্ডবিধির অপর একটি ধারায় আরো সাত বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুই ধারায় তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন অলিয়ার রহমান ওরফে অলি, আমিনুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান মিজান। এদের রায়ের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি হতে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২১ অক্টোবর দিবাগত রাত সোয়া ৯টার দিকে ভিকটিম আসাদুজ্জামান খন্দকার মোটরসাইকেলে করে রাজানগর বাজারে গেলে আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ঘটনায় নিহতের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১২ মে পুলিশ পরিদর্শক এস এম শহিদুল ইসলাম ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে মুন্সীগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এ আদালতে পাঠানো হয়।
রায়ের আগে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সৈয়দ রেজাউর রহমান।