ফরিদপুরে চলছে অবৈধ লটারির ব্যবসা
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় চলছে অবৈধ লটারির জমজমাট ব্যবসা। সার্কাসের জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই ব্যবসা চালানো হচ্ছে সাতৈর ইউনিয়নের কয়ড়া কালীবাড়ি মাঠে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বিনোদনের জন্য এই মাঠে সার্কাসের আয়োজন করার অনুমতি পায় আয়োজক কমিটি। গত ১৭ মে থেকে শুরু হয়েছে সার্কাস। এর পাশাপাশি সেখানে শুরু হয় অবৈধ লটারি ব্যবসা। টু-স্টার লাকি কুপন বিক্রির মাধ্যমে চলছে অবৈধ এই খেলা।
আকর্ষণীয় পুরস্কারের ঘোষণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তির কাছ থেকে কুপন বিক্রির নামে প্রতিদিন হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল টাকা। দু-একটি ভালো পুরস্কার দিয়ে বাকিগুলো দেওয়া হচ্ছে নামমাত্র পুরস্কার। ফলে প্রতিদিন আয়োজক কমিটি ও লটারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পকেটে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া লাখ লাখ টাকা। লটারি ব্যবসার চাকচিক্যের জালে ধরা দিচ্ছেন দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ।
প্রতিদিনের কষ্টার্জিত আয়ের একটি অংশ লটারি কেনায় ব্যয় করায় সংসার জীবনেও নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন অনেকে।
এ ব্যাপারে জানতে আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. রাজ্জাক মোল্লাকে ফোন করা হলে প্রথমে তিনি মেলার সভাপতি হওয়ার কথা স্বীকার করতে চাননি। পরে স্বীকার করে বলেন, ‘এখানে মেলার অনুমতি পাওয়া গেছে। তবে লটারির অনুমতি পাওয়া যায়নি। এটা বন্ধ করলেও ভালো, আবার চললেও ভালো। এটা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই।’
এদিকে, অবৈধ লটারি ব্যবসার কথা কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে ওখানে সার্কাসের অনুমতি রয়েছে। লটারির কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।’
তবে এখন যেহেতু অভিযোগ এসেছে, তাই এখনই এ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন ইউএনও।
সরেজমিনে দেখা যায়, বোয়ালমারী বাজারসহ আশপাশের বাজারে লটারি বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি ভ্যানগাড়িসহ নানা যানবাহনে। এ ব্যাপারেও প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।