আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতি, ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড

রাজধানীর উপকণ্ঠ আশুলিয়ার জামগড়া বাজারে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান এ আদেশ দেন।
আদেশের সময় নিহত ব্যক্তির স্বজন ও ভুক্তভোগীরা আদালতে হাজির ছিলেন। তাঁরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে গত ২৫ মে আসামিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক এস এম কুদ্দুস জামান রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—বোরহানউদ্দিন, সাইফুল আলামিন, মিন্টু প্রধান, মো. জসীমউদ্দিন, মাহফুজুল ইসলাম সুমন ও পলাশ ওরফে সোহেল রানা।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন উকিল হাসান। তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন বাবুল সরদার ও মোজাম্মেল হক। অন্যদিকে খালাস পেয়েছেন আবদুল বাতেন ও শাজাহান জমাদ্দার।
আসামিদের মধ্যে পলাশ পলাতক। অন্য ১০ জন কারাগারে আটক আছেন। তাঁদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ মামলায় ৬৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। মামলার আসামিদের মধ্যে বাবুল সরদার, মিন্টু প্রধান, উকিল হাসান ও শাজাহান জমাদ্দার বাদে অন্য সবাই জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল আশুলিয়ায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকাতদের গুলি ও চাপাতির আঘাতে ব্যাংক ম্যানেজারসহ আটজন নিহত হন। ডাকাতরা ছয় লাখ ৮৭ হাজার ১৯৩ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় বোরহানউদ্দিন ও সাইফুল নামের দুই ডাকাতকে জনতা হাতেনাতে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। গণপিটুনি দেওয়া ওই দুজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাবুল সরদার ও মিন্টু প্রধানকে আটক করে পুলিশ।
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি এ মামলায় জেএমবি সদস্যসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, প্রকাশ্যে দিনের আলোয় এ ঘটনাটি শুধু ডাকাতি নয়, বরং এটি ঠান্ডা মাথায় হত্যা। বিনা উসকানিতে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে । আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি উদাহরণ হিসেবে বিবেচ্য থাকবে।