শিগগির দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর চালু চান ব্যবসায়ীরা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশন (স্থলবন্দর) দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশন (স্থলবন্দর) বাস্তবায়ন কমিটি এ দাবি জানায়। সভায় উদ্যোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসসহ ব্যবসায়ীরা বক্তব্য দেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে জীবননগর দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মজিবর রহমান, সদস্য সচিব আব্দুল হক, সহসভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু ও আয়েশা সুলতানা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপপ্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম খন্দকার হাবিবুর রহমান, কাস্টমস পরিদর্শক ফিরোজ আলম, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস আলী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মেদেনীপুর কম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ আলী ও প্রেসক্লাব সভাপতি আজাদ মালিতা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্থলবন্দর চালুর বিষয়ে জীবননগর জিরো পয়েন্ট থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করা, জেলা পরিষদের রাস্তার জায়গা খালি করা, বন্দর এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে অবগত করা, সরকার অনুমোদিত বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত সদস্যদের লাইসেন্স দেওয়া, ভারতীয় অংশে কাজের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হক জানান, গত ৬ মে দিল্লি কাস্টমস মেম্বার পি কে দত্তের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ভারতের মাজদিয়া এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ৯ মে মাজদিয়ায় পাঁচ একর জমি অধিগ্রহণ করে। এ জায়গায় ভারতের অংশে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এদিকে বাংলাদেশ অংশে জীবননগরের দৌলতগঞ্জে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবন, যাত্রী ছাউনী, বিজিবি চৌকি নির্মাণ এবং নয় একর জমির ওপর দীর্ঘদিন ধরে ইয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। এ স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মধ্যে মানুষ যাতায়াত ও মালামাল আমদানি-রপ্তানি সহজ হবে।
২০১৩ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সরকার দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশনের ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।