যে কারণে ভেঙে যায় বিমানের দরজা
বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৭৭ মডেলের একটি বিমান ওড়ার আগমুহূর্তে এর দরজা ভেঙে খুলে পড়ে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার বিমানটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমানের রাজধানী মাসকট যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিলেন। ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আরেকটি বিমান এসে ওই যাত্রীদের দুপুর ২টার দিকে মাসকট নিয়ে রওনা হয়। আর দরজা ভেঙে পড়া বিমানটি মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির।
দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের যাত্রী মো. আহসান জানান, বিমানটি উড্ডয়নের আগেই দরজা খুলে পড়ে যায়। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে নেমে যেতে পেরেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহ আমানত বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে জানান, বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৭৭ বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে লেগে ছিল। দরজা ছিল খোলা। ওই অবস্থায় পাইলট বিমান চালানো শুরু করলে বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানের দরজা ভেঙে পড়ে যায়। বোর্ডিং ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাইলট ও গ্রাউন্ড কর্মকর্তাদের ভুলের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ এনটিভি অনলাইনকে জানান, বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে বিমানের দরজা আটকে থাকার পরও বিমান চালানো শুরু করলে দরজা ভেঙে যায়। পাইলট ও গ্রাউন্ড কর্মকর্তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও অসতর্কতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই অবস্থায় বিমানটি যদি আকাশে উড়ত তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত।
যোগাযোগ করা হলে উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির জানান, বেলা ২টার দিকে ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আরেকটি বিমান এসে ওই যাত্রীদের মাসকট নিয়ে রওনা হয়েছে। ওই বিমানটি মেরামতের কাজ চলছে। কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।