দাফনের পাঁচ মাস পর ওঠানো হলো গৃহবধূর লাশ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় তদন্তে দাফনের পাঁচ মাস ১০ দিন পর কবর থেকে তাঁর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে আশুলিয়ার কোনাপাড়া এলাকার কবর থেকে লাশ ওঠায় গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফায়াদ পারভেজ বসুনিয়া উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূর নাম রত্না বেগম (২৬)। তিনি কালিয়াকৈরের বরিয়াবহ এলাকার আবুল হাসেমের স্ত্রী এবং ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার কোনাপাড়া এলাকার আকবর হোসেনের মেয়ে।
পিবিআই গাজীপুরের পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, গত বছরের ২৯ নভেম্বর কালিয়াকৈর উপজেলার বরিয়াবহ এলাকা থেকে দুই কন্যার জননী গৃহবধূ রত্না বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়। ঘটনাটি সন্দেহ হলে নিহতের বাবা আকবর হোসেন বাদী হয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেন। আদালত পিবিআই গাজীপুরকে মামলা তদন্তে দায়িত্ব দেন।
পিবিআই গত ১৫ মার্চ রত্নার স্বামী আবুল হাসেমকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে আবুল হাসেম হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। গত ২৮ নভেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে বন্ধু রিপনকে সঙ্গে নিয়ে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে রত্নাকে হত্যা করেন আবুল হাসেম। পরে নিহতের লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখেন তাঁরা।
রিমান্ড শেষে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারিক আদালতে হাজির করলে তিনি ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আবুল হাসেমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর সহযোগী রিপনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান আরো বলেন, পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের আদেশে বুধবার কবর থেকে রত্না বেগমের লাশ উত্তোলন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।