সিরাজগঞ্জে আবারো অ্যানথ্রাক্স, আক্রান্ত ৩৪
সিরাজগঞ্জের দুই উপজেলায় আবারো অ্যানথ্রাক্সের (তড়কা রোগ) জীবাণু মিলেছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পশুর পাশাপাশি মানুষও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলার কামারখন্দ ও শাহজাদপুর উপজেলায় নারী ও শিশুসহ অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত ৩৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধিদল আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে রোগটি অ্যানথ্রাক্স। আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরের সদস্যরা আক্রান্ত পশুর মাংস ও নমুনা সংগ্রহ করেন।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা ইমান আলী বলেন, ‘প্রায় এক মাসের ব্যবধানে শাহজাদপুর উপজেলার তিন-চারটি গ্রামে অসুস্থ ষাঁড় ও ছাগল জবাই করার পর ওই এলাকায় এ রোগ দেখা দেয়। এ ছাড়া তিনটি অসুস্থ গরু জবাই করে খাওয়ায় কামারখন্দ উপজেলায় এ রোগ দেখা দিয়েছে।’
‘ষাঁড়টির মাংস কাটা ও রান্নার কাজের সঙ্গে জড়িতরাই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্যবিভাগের একটি প্রতিনিধিদল আক্রান্ত এলাকায় কাজ করছে। তারা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ ও জনগণকে সচেতন করতে প্রচারপত্র বিলি করছে।’ যোগ করেন স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আকতারুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘একদিকে গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি, অন্যদিকে গবাদি পশু পালনকারীদের অসতর্কতার কারণে প্রতি বছর সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ জেলাব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া অসুস্থ প্রাণী জবাই ও খাওয়া বন্ধ, মৃত গরুকে ছয় ফুট মাটির নিচে পুঁতে রাখাসহ জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ শুরু করা হয়েছে এবং ওই এলাকাগুলোতে প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি চলছে।’