স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত, স্বামীকে গণপিটুনি
গাজীপুরে নার্সিং ইনস্টিটিউটে পড়ুয়া স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করেছে তাঁর স্বামী। গুরুতর আহতাবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীর স্বামীকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আহত ওই ছাত্রীর নাম ফাতেমা আক্তার (২০)। তিনি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবদুল লতিফের মেয়ে।
জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল মিয়া জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তেলিপাড়া এলাকায় অবস্থিত রয়েল নার্সিং ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা কলেজের হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে। নার্সিং কলেজে ভর্তির আগে তিনি আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সেখানে একই কারখানার কর্মী লিটন মিয়ার (৩০) সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ফাতেমা গত ২৯ মার্চ লিটনকে গোপনে বিয়ে করেন। তাঁদের এ বিয়ে ফাতেমার পরিবার মেনে নেয়নি। ফলে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছিল।
এসআই জামাল মিয়া জানান, আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে লিটন গাজীপুরে এসে তাঁর স্ত্রী ফাতেমার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে চান। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা এ বিয়ে মেনে না নেওয়ায় লিটনের সঙ্গে যেতে রাজি হননি ফাতেমা। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে লিটন ফাতেমাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ফাতেমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে লিটনকে আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। এলাকাবাসী গুরুতর আহত ফাতেমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে পুলিশ পেট্রলভর্তি একটি বোতল ও ছুরিসহ আহত লিটনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
লিটন মিয়ার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সাখাইল গ্রামে।