রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প হবে উন্নয়নের রোল মডেল
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়কমন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, ‘দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিদ্যুতের প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী। দেশের দ্রুত উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা যাতে কিছু রেখে যেতে পারি, সেই চিন্তারই ফসল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।’
মন্ত্রী আরো বলেন, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প হবে দেশের উন্নয়নের রোল মডেল, যা উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ফলে পাবনা জেলা ও ঈশ্বরদী উপজেলা হবে উন্নত দেশের সমতুল্য।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ও কারিগরি বিষয়াদি পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য আজ শনিবার ঈশ্বরদীর রূপপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কারিগরি কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযক্তিবিষয়কমন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমান এসব কথা বলেন।
এর আগে বেলা ১১টায় মন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমানের নেতৃত্বে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে। প্রতিনিধিদলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, ২২টি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা ছিলেন।
রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাক্সম ভি এলচেচেভ ও পরিচালক পাভেল ডি ভ্রাসব প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নিয়ে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখান এবং কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বর্ণনা দেন।
পরে এক সভায় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত এই প্রকল্প মনিটরিং করছেন। যে কারণে মুখ্য সচিব সাতদিনে একবার এই প্রকল্প নিয়ে বসে আলোচনা করেন। ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা থাকলেও স্বাধীনতা অর্জনের রজতজয়ন্তী ২০২১ সালের মধ্যে কাজ শেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রাশিয়ানদের অনুরোধ করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন ওই সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল হক খানের সঞ্চালনায় মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আজকে আমরা দেখেছি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের মূল রি-অ্যাক্টর অর্থাৎ হার্ট যেখানে বসানো হবে সেই স্থান। এই প্রকল্পের ১৮ বছর মেয়াদকালে রাশিয়ানদের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বেগ পেতে হবে না।