ভৈরবের সাত ইউপির ৭০টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ!
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭০টি কেন্দ্রের সবকটিকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে প্রশাসন। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আহমেদ এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ভৈরববাসীকে উপহার দিতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। যে কেউ এর ব্যত্যয় ঘটানোর অপচেষ্টা চালালে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য চারজন পুলিশ, চারজন অস্ত্রধারীসহ ১৮ জন করে নিরস্ত্র মহিলা ও পুরুষ আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া আটজন করে র্যাব সদস্যের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে র্যাবের তিনটি স্ট্রাইকিং টিম এবং ১২ জন করে বিজিবির সদস্য নিয়ে ১০টি বিজিবির টহল টিম। এ ছাড়া বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল টিমের সাথে ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার অনুষ্ঠিতব্য ভৈরবের আগানগর, সাদেকপুর, গজারিয়া, শিমুলকান্দি, শ্রীনগর, কালিকাপ্রসাদ ও শিবপুর- এই সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ২৭ জন চেয়ারম্যান পদে, সাধারণ সদস্য পদে ২৩০ জন এবং সংরক্ষিত (নারী) আসনে ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এক লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জন ভোটার ৭০টি কেন্দ্রের ৩৬৮টি ভোট কক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এর মধ্যে ৬২ হাজার ৫১১জন পুরুষ আর ৫৮ হাজার ১৫৬ জন নারী ভোটার।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বচ্ছ ব্যালট ব্যাক্সসহ যাবতীয় উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোর প্রিসাইডিং অফিসারদের হাতে এসব উপকরণ তুলে দেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) চিত্রা শিকারী, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব আলম উপস্থিত ছিলেন।