লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে পাবনায় বিক্ষোভ, অবরোধ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের (বিদ্যুৎ বিভ্রাট) প্রতিবাদে ও স্কুল-কলেজের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বনগ্রামে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক, ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের মানুষ যোগ দেয়। অবস্থার উন্নতি না হলে আগামীতে আরো বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তারা ঘোষণা দেয়।
সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা সাঁথিয়ার বনগ্রাম বাজার থেকে বহলবাড়িয়া নামক জায়গা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধন করে। তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে তারা রাস্তায় বসে প্রায় এ ঘণ্টা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে রাস্তার উভয় পাশে বহু যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় এলাকার হাজার হাজার নারী-পুরুষ তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। পরে তারা বৈষম্যমূলক বণ্টনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে যায়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মিয়াপুর হাজি জসীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মুনুছুর আলম পিনচু, কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, অভিভাবক আবদুল হামিদ মোল্লা, শিক্ষক আবু সাঈদ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর মাধপুর সাব স্টেশনের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তাতে দিনে ১৮-২০ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। এতে প্রচণ্ড গরমে তাদের বাড়িতে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে।
অভিভাবক ও শিক্ষকরা একই অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের এখন সন্ধ্যার সময় কোনোদিনই পড়া শুরু হয়ে ওঠে না। অন্যান্য সময়েও বিদ্যুৎ না থাকায় নীরবে শিক্ষার্থীদের ছাত্রজীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এলাকার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংসের পথে। তাঁরা জানান, মাধপুর সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ বণ্টনে বৈষম্য করা হয়। তাঁরা বলেন, মাধপুর থেকে একটি ফিডারে বেশি বিদ্যুৎ দিয়ে অন্য ফিডারগুলোতে বিশেষ করে ২ নম্বর ফিডারে বেশি লোডশেডিং চাপিয়ে দেওয়া হয়। তারা এ বিষয়টি অবিলম্বে বন্ধে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।