আশাশুনিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি দেড়শ পরিবার
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) চাকলা বেড়িবাঁধ ভেঙে দেড়শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে চিংড়ির প্রায় ৫০টি ঘের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চাকলার ৭/২ পোল্ডারে জোয়ারের পানির চাপে ভাঙন দেখা দেয়। মুহূর্তেই কমপক্ষে ৫০ ফুট এলাকা কপোতাক্ষের পানিতে ধসে যায়।
উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গোলাম রসুল জানান, তাঁর বাড়িও কপোতাক্ষের পানিতে সয়লাব হয়ে আছে। গ্রামের কয়েকটি মাটির ঘর ক্ষতির মুখে পড়েছে। তিনি জানান, তাঁদের পোষা ভেড়া নৌকা করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আজাদ মিস্ত্রী, ফারুক গাজী, ইদ্রিস গাজী, মহিবুল্লাহ, মহব্বত আলী, আশরাফ ঢালীসহ চাকলা গ্রামের অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকের পুকুর তলিয়ে গেছে। ছোট ৫০টি চিংড়ির ঘের পানি তলিয়ে যাওয়ায় মাছ ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
প্রতাপনগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘অমাবস্যার কারণে পানির চাপ বেড়েছে। সে সঙ্গে দমকা হাওয়ায় পানির তোড়ে বেড়িবাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ইউনিয়নের দেড়শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে আমি গতকাল রাত থেকেই গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা চালাচ্ছি।'
চেয়ারম্যান বলেন, ‘বেড়িবাঁধের চাকলা পয়েন্টটি খুবই দুর্বল। তিন মাস আগে এটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। অথচ ঠিকাদাররা কাজে আসছেন না।’
চেয়ারম্যান জানান, সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় পাউবোর কোনো কর্মকর্তা আশাশুনিতে নেই। বিষয়টি তিনি আশাশুনির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুষমা সুলতানাকে জানিয়েছেন।
এই কাজের ঠিকাদার মুনসুর আহমেদ বলেন, তিনি ওয়ার্ক অর্ডার হাতে পাননি এখনো। পেলেই কাজ শুরু করা হবে।