জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগকর্মীদের মারধরে শিক্ষার্থী আহত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে মেহেদী হাসান কাব্য নামের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছে মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এ ঘটনা ঘটে।
কাব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে এক বন্ধু এবং তাঁর মায়ের সাথে বটতলায় ইব্রাহিমের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন কাব্য। এ সময় ভাসানী হলের ছাত্রলীগকর্মীরা সেখানে বসতে চাইলে এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাব্যকে থাপ্পড় দেন এক ছাত্রলীগকর্মী। পরে দোকান থেকে বের হওয়ার পর মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগকর্মী সুজন মাহমুদের (বাংলা বিভাগ, ৪৩ তম ব্যাচ) নেতৃত্বে রাকিবসহ (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ৪৩ তম ব্যাচ) ছয়-সাতজন ছাত্রলীগকর্মী কাব্যকে ব্যাপক মারধর করেন।
পরে আহত অবস্থায় কাব্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনার পর দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে এ দুই হলের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হোসেন দীপু এবং মুর্শিদুর রহমান আকন্দ বটতলায় বৈঠক করেন। ঘটনার সাথে জড়িত সুজনের বিচারের জন্য দুই ঘণ্টা সময় নেন মুর্শিদ।
এ বিষয়ে মুর্শিদুর রহমান আকন্দ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঘটনার সময় ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। জড়িতদের বিচারের পাশাপাশি উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করছি।’
জানতে চাইলে আজ শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘শুনেছি শিক্ষার্থীরা নিজেরা সমঝোতার চেষ্টা করছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।’