ইবিতে হামলায় সহকারী রেজিস্ট্রারসহ আহত ৭
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য (প্রোভিসি) অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধনের প্রস্তুতির সময় উপাচার্যের (ভিসি) সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে সহকারী রেজিস্ট্রার মীর মোরশেদ খানসহ সাতজন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। শাপলা ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করছিল। সহকারী রেজিস্ট্রার মীর মোরশেদ ছাড়া আহতরা হলেন ভিসির পিএস মনিরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ এবং ভিসি অফিসের কর্মকর্তা আইয়ুব, নাসিম, হান্নান ও আলমগীর। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোরশেদের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকারের অপসারণ দাবি করে উপ-উপাচার্য সমর্থকদের মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমানের অপসারণের দাবি করে পাল্টা মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেন ভিসি সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তারা। আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী আরো জানান, উপাচার্য সমর্থকদের কর্মসূচির প্রতিবাদে একই সময়ে পাল্টা কর্মসূচির ডাক দেয় উপ-উপাচার্য সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের একাংশ। এ নিয়ে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সকাল থেকেই উপ-উপাচার্য সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরের পাশে অবস্থান নেয়। এ সময় উপাচার্য সমর্থক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁদের দলীয় টেন্টে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্য সমর্থক কর্মকর্তা মীর মোরশেদ খানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মানববন্ধনে যোগগদানের জন্য প্রশাসন ভবন থেকে বের হলে উপ-উপাচার্যের সমর্থক কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ তাঁদের ধাওয়া করে। এ সময় উপ-উপাচার্যের সমর্থক কর্মকর্তাদের আঘাতে ভিসি সমর্থক গ্রুপের কর্মকর্তা মোরশেদ খানসহ সাতজন আহত হয়েছেন।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান এনটিভিকে বলেন, ‘যেহেতু উভয় গ্রুপের মধ্যে একটু মতবিরোধ হয়েছে, তাই সবাই যাতে নির্বিঘ্নে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পায়, সে জন্য প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
শাপলা ফোরামের সভাপতি শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন জানান, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের চেষ্টাকালে প্রতিপক্ষরা এ হামলা চালায়।
উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান বলেন, ‘একই সময়ে দুই পক্ষ পৃথক দুটি মানববন্ধন করতে গেলে সেখানে উত্ত্বেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় তাঁকে দোষী করা ভিত্তিহীন।’