গাজীপুরে আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
গাজীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মারধর করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. শাহজাহান (৪২)। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। শাহজাহান গাজীপুরের সাবেক গাছা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড (সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি।
নিহতের ভাই আফাজ উদ্দিন ও স্থানীয় লোকজন জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েকদিন আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ডবাজারের গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল মণ্ডল ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শফিকুল ইসলাম শফিকের লোকজন স্থানীয় গাছা বাজারের একটি দোকানের সামনে পেয়ে প্রতিপক্ষের রমজানকে মারধর করেন। রমজান বাড়িতে গিয়ে তাঁর মামা শাহজাহানকে ঘটনাটি জানান। পরে শাহজাহান তাঁর আহত ভাগ্নে রমজানকে নিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে তাঁরা গাছা বঙ্গবন্ধু কলেজ মোড়ে পৌঁছালে শফিকুল ইসলাম শফিক, মজিবুর, মোহাম্মদ আলী, আল-আমীন জুয়েলসহ প্রতিপক্ষের ২০-২৫ জন সশস্ত্র লোক মাইক্রোবাসের গতি রোধ করে এবং শাহজাহানকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে থেকে নামায়। এ সময় তারা শাহজাহানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। হামলাকারীরা আহত শাহজাহানকে হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয়। আহত শাহজাহান প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানেই পড়ে ছিলেন। পরে তাঁর স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে ঢাকার উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহান মারা যান।
শনিবার দুপুরে নিহত শাহজাহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়।
লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের মাথা, হাত, পা, বুক, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও ভাঙা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।