সুনামগঞ্জে কালবৈশাখীতে পাঁচশ বাড়ি বিধ্বস্ত, শিশু নিহত

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে কালবৈশাখীতে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে এক শিশু নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। আজ শুক্রবার ভোররাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম তানজিনা বেগম। সে পলাশ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের ফজল মিয়ার মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহত শিশু তানজিনার বাবা ফজল মিয়া ও তার ভাই সুমন মিয়া গুরুতর আহত হন। তাঁদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঁদের মধ্যে সুমনের অবস্থা গুরুতর। আহত অন্যদের বিশ্বম্ভরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যে শিশুটি নিহত হয়েছে, তাকে দাফনের জন্য তাৎক্ষণিক আট হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো আর্থিক সহায়তা করা হবে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, বিশ্বম্ভরপুরে আজ ভোররাতে বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী শুরু হলে এই উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় কয়েকশ গাছপালা উপড়ে পড়ে। ঝড়ের সময় পলাশ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের ফজল মিয়ার ঘর চাপা পড়ে তাঁর মেয়ে তানজিনা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় ফজল মিয়া ও তাঁর ছেলে সুমন মিয়া গুরুতর আহত হলে তাঁদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।