মাদারীপুরে বন্ধ হাসপাতালের বহির্বিভাগ, ভোগান্তিতে রোগীরা
চিকিৎসক লাঞ্ছিতের ঘটনায় সাত দিন ধরে বন্ধ আছে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের কার্যক্রম। সেই সঙ্গে বন্ধ আছে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসক লাঞ্ছিতের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে হাসপাতালের বহির্বিভাগের কার্যক্রম কোনোভাবেই শুরু করা হবে না।
আর এতে করে অসহায় ও গরিব রোগীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। বেশি টাকা খরচ করে ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার মতো সামর্থ্য তাঁদের নেই। তাই দ্রুত হাসপাতালের বহির্বিভাগের কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সদর উপজেলার খাগদী গ্রামের রোকসানা আক্তার তাঁর অসুস্থ শিশুকে বুধবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছি, আমার অসহায়ের কথা ডাক্তারদের বললে তাঁরা হয়তো আমার ছেলেকে ভর্তি করে নেবেন। কিন্তু আমি ভাবতেই পারিনি, তাঁরা আমাকে এভাবে ফিরিয়ে দেবেন। আমাকে তাঁরা অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। আর কোনো অনুরোধই তাঁরা শুনলেন না।’
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার দাস মোবাইল ফোনে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের লাঞ্ছিতের ঘটনা খুবই ন্যক্কারজনক। তাই এর প্রতিবাদে চিকিৎসকরা বহির্বিভাগ বন্ধ রেখেছেন। আগামী শুক্রবার এর মধ্যে দোষীরা গ্রেপ্তার না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গত শুক্রবার ভোররাতে মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার লাল মিয়া শিকদারের স্ত্রী রেনু বেগমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই রোগী মারা যান। এ ঘটনায় রোগীর আত্মীয়স্বজন কর্তব্যরত চিকিৎসক খন্দকার মাইনুল হাসানের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন।
এ ঘটনায় লাঞ্ছিতের অভিযোগ এনে চিকিৎসকরা শুক্রবার থেকে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেন। তবে ভর্তি থাকা রোগীদের সাধারণ ও জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা চলছে।