গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় ৩ খুন
গাজীপুরে মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় ধান কাটার সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত ও তাঁরই তিন ছেলে আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া মহানগরীর টঙ্গী এলাকায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে একজন এবং কালিয়াকৈরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের ধনঞ্জয়খালী এলাকায় আজ বুধবার সকালে তিন ছেলেকে নিয়ে জমির পাকা ধান কাটতে যান আবদুল গফুর। এ সময় একই এলাকার সবদুল, বাবুল, রহিজ উদ্দিন গংরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হন গফুর। আহত হন আবদুল গফুরের তিন ছেলে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন ও আল আমিন। আহতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রহিজ উদ্দিনের স্ত্রী রুমা আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
এ ছাড়া আজ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, গেল রাতের কোনো একসময় চন্দ্রা বন বিট এলাকার নির্জন মাঠের পাশে নিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই ব্যক্তির মাথার পেছনে গভীর কাটা দাগ ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটুকরো রড উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরনে শার্ট ও লুঙ্গি ছিল।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর মাছিমপুর এলাকায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দুই বন্ধুর ছুরিকাঘাতে অপর এক বন্ধু খুন হয়েছে। নিহতের নাম জাহিদ হাসান রনি। তার বাড়ি বাহ্মণবাড়িয়ার ষোলঘর এলাকায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তারই পূর্বপরিচিত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার কাঁঠালি এলাকার আনোয়ার খন্দকার এবং রাজশাহীর চারঘাট থানার ডাকরা এলাকার রাজু মিয়া।