যে কারণে মাদারীপুরে চিকিৎসক ধর্মঘট প্রত্যাহার হচ্ছে না
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের ধর্মঘটের পঞ্চম দিনেও অচলাবস্থা কাটেনি। চিকিৎসকরা তাঁদের দাবির প্রতি অনড় রয়েছেন। আর প্রশাসন থেকেও অচলাবস্থা নিরসনে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার ধর্মঘটের পঞ্চম দিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, বহির্বিভাগ বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে চলছে জরুরি সেবাদান। তবে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা খুব কম। অধিকাংশ সিটই খালি পড়ে আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নার্স ও চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসকই বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। হাসপাতালে সেবা বন্ধ থাকলে ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা বেশি হয়। এ ছাড়া লাঞ্ছিত হওয়া চিকিৎসক ডা. মাইনুল মাদারীপুরের এক শ্রমিক নেতার ছেলে। তাই প্রশাসনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। ধর্মঘটও প্রত্যাহার হচ্ছে না।
শহরের কুলপদ্বী এলাকা থেকে আসা হাসপাতালে ভর্তি রোগী সীমা আক্তারের নানি জয়নব বেগম বলেন, ‘আমার নাতির ছয়দিন আগে বাচ্চা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ডাক্তার দেখেননি। একজন ডাক্তার আজ সকালে (মঙ্গলবার) পরিদর্শনে এলেও আমার নাতিকে দেখেননি।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, তিনি অফিসের কাজে ঢাকা গেছেন। পরে তাঁকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিভিস করেননি।
শুক্রবার ভোর রাতে মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার লাল মিয়া শিকদারের স্ত্রী রেনু বেগমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই রোগী মারা যান। এই ঘটনায় রোগীর আত্মীয়স্বজন কর্তব্যরত চিকিৎসক মাইনুলের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। অপরদিকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ এনে চিকিৎসকরা শুক্রবার থেকে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেন।