সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীকে নির্যাতন, দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের নির্যাতনে এক ছাত্র মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে বলে তার মা জাহানারা খাতুন অভিযোগ করেছেন। ওই দুই শিক্ষকের বিচার দাবিতে গতকাল সাতক্ষীরার আদালতে মামলা করেছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাহানারা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে জাহানারা খাতুন বলেন, গত ৯ মার্চ ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক লিয়াকত হোসেন এক ছাত্রীর সঙ্গে নিরিবিলি পরিবেশে কথা বলতে থাকেন। বিষয়টি তাঁর ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র আসিফ শেখ দেখে ফেলায় তাকে শিক্ষক লিয়াকত হোসেনের রোষানলে পড়তে হয়। ওই দিনই ইংরেজির শিক্ষক লিয়াকত হোসেন ধর্মীয় বিষয়ের শিক্ষক আবদুল লতিফের কাছে থাকা লাঠি নিয়ে আসিফকে ব্যাপক মারপিট করেন। পরে টেবিলের নিচে তার মাথা ঢুকিয়েও পেটানো হয়। একপর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে দুই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করেন।
জাহানারা খাতুন বলেন, ছেলের সহপাঠীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর সে প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়। দিন দিন তার অবস্থার অবনতি হতে থাকায় গত ১২ মার্চ তাকে সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আসিফকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তার ছেলে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ধীরাজ মোহনের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে জাহানারা খাতুন আরো বলেন, এ ঘটনায় তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার পাননি। বাধ্য হয়ে গতকাল ২৫ এপ্রিল দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর সিআর ২৫/১৬ (দেঃ)। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাহানারা খাতুন তাঁর ছেলেকে নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক লিয়াকত ও লতিফের শাস্তি দাবি করেন।