মাদারীপুরে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকের বিচার দাবি
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের ধর্মঘটের চতুর্থ দিনে সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। শুক্রবার থেকে অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে রোগীর স্বজনরা দোষী চিকিৎসকের বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আজ সোমবার মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে চিকিৎসকরা এসেছেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ। বন্ধ রয়েছে টিকেট কাউন্টারসহ চিকিৎসকদের কক্ষও। তবে জরুরি বিভাগে সীমিত পরিসরে গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ রোগী এসে ফিরে যাচ্ছেন।
এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে এক শিশুর চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন সদর উপজেলার ধুরাইল গ্রামের সালমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আজ চিকিৎসকদের ধর্মঘট তা জানতাম না। ডাক্তার নেই, তাই চলে যেতে হচ্ছে।’
এদিকে আজ বেলা ১১টায় মাদারীপুর প্রেসক্লাবে মৃত রোগী রেনু বেগমের ছেলে রিয়াজ শিকদার সংবাদ সম্মেলন করে তাঁর মাকে হত্যার অভিযোগ তুলে দোষী চিকিৎসকের বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া শহরের কলেজ রোডবাসী সকালে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
যোগাযোগ করা হলে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার দাস বলেন, ‘চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। তবে আমি ধর্মঘটের পক্ষপাতী নই। দোষীকে গ্রেপ্তার করলেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।’
গত শুক্রবার ভোরে মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার লাল মিয়া শিকদারের স্ত্রী রেনু বেগমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইনুল রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রোগীর সমস্যা হলে তাঁকে একাধিকবার ডাকাডাকি করা হলেও তিনি আসেননি। একপর্যায়ে রোগী মারা যান। এরপর ওই চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের বাকবিতণ্ডা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের দাবি, ওই সময় চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাঁরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন। তবে তাঁরা মাদারীপুর শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও চেম্বারে রোগী অর্থের বিনিময়ে রোগী দেখছেন।