রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির তৃতীয় বছর আজ

আজ ভয়াল ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে দেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম শিল্প দুর্ঘটনা ঘটে রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে। সেদিন সকালে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে রানা প্লাজা নামের ভবনটি।
রানা প্লাজা ধসের বার্ষিকীতে সকালে কালো ব্যাজ ধারণ করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। এ ছাড়া সকালে নিহত ও আহত শ্রমিকদের স্বজনরা রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শ্রমিকরা রানা প্লাজার সামনে মালিক সোহেল রানার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভবনধসের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কত সংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও শেষ পর্যন্ত তিন হাজার ৬৬৫ জন মানুষকে জীবিত এবং মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ১৩৫ জনকে মৃত এবং দুই হাজার ৪৩৮ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ৮৪৩টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ৫৯টি লাশ হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে। ২৩৪টি লাশ অশনাক্ত অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রানা প্লাজার ট্র্যাজেডিতে সেদিন নিহত হতভাগ্য মানুষগুলোর মধ্যে ১০৫ জনের পরিচয় এখনো মেলেনি। আদৌ আর মিলবে কি না- সে বিষয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এই ১০৫ লাশের পরিচয় অশনাক্ত রেখেই ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল শেষ করা হয় ডিএনএ পরীক্ষা। রানা প্লাজা ধসের প্রায় এক বছরে অশনাক্ত ৩২২ জনের মধ্যে মোট ২০৬টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ১১টি লাশের ক্ষেত্রে দুজনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়।