এবারও ঘটেছে, তবে কম : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, এবারও কিছু অনিয়ম ও সহিংসতা বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেছে, তবে আগের দুই পর্যায়ের তুলনায় তা কম।
শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাপক ভোটারের ভোটদানের মধ্য দিয়ে আজ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ৬১৪টি ইউনিয়নের ভোট হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো তৃতীয় ধাপেও নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ করা গেছে।
আগের দুই ধাপের তুলনায় ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তৃতীয় ধাপের ছয় হাজার ৭৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বিধিবহির্ভূত হওয়ায় ২৪টি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে ৬৫ এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩৭টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছিল।
কোথাও বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভোটে যাতে কোনো কারচুপি না হয়, সে জন্য আগের রাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। একটি কেন্দ্র দখলের সময় বাধা দিতে গিয়ে দুজন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। কারচুপির অভিযোগে দুজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিইসি আরো বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এ ধাপে সহিংসতা কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে ইসি বৈঠক করেছে। বৈঠকে নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয় সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, গোলযোগের কোনো ঘটনা ঘটলে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া আছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আবু হাফিজ, মো. শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এবার ছয় ধাপে ভোট হচ্ছে। এরই মধ্যে ২২ মার্চ ও ৩১ মার্চ ভোট শেষ হয়েছে। আজকের পর আরো তিন ধাপের ভোট বাকি রয়েছে।