সাক্ষীগোপাল ইসির এ নির্বাচনের কোনো অর্থ হয় না : নজরুল ইসলাম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এই নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন ঘটবে না। যেখানে জবরদস্তি করে সরকারি দলের প্রার্থীরা নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করবে এবং সেটার সাক্ষীগোপাল থাকবে নির্বাচন কমিশন। এ ধরনের নির্বাচনের কোনো অর্থ হয় না।
আজ শনিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের সঙ্গে তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নজরুল ইসলাম। তিনি এ দলের নেতৃত্ব দেন। অন্য দুই সদস্য হলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আগের দুইবারের মতো যথেষ্ট কারচুপি, জোর করে কেন্দ্র দখল, বিএনপির প্রার্থী ও এজেন্টদের বের করে দেওয়া, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো, ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা অর্থাৎ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সরকারি দলের লোকেরা তাই করেছে। তাদের এ কাজে বাধা দেওয়ার পরিবর্তে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেছে।’
ইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের সময়ও আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছিলাম। তিনি একই জবাব দিয়েছিলেন। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের সময় একই জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ রকম অভিযোগ তাঁর কাছেও আছে। কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধও করেছেন। কিন্তু দু-চারটি কেন্দ্র বন্ধ করলে কিছু যায় আসে না। কারণ অন্য যে কেন্দ্রগুলো দখল করা হয়েছে তাতে ফলাফলে প্রভাব পড়বে না।’ যেসব জায়গায় বেশি সন্ত্রাসী কার্যক্রম হয়েছে, মানুষকে গুরুতর আহত করা হয়েছে সেগুলো বাতিল করে পুনরায় ভোটের দাবি জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম দাবি করে বলেন, ‘সিইসি আমাদের অনুরোধ করে বলেছেন, আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। সামনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে কারচুপি না হয়। তাদের অনেক কথায় আমরা শুনেছি। কিন্তু কোনোটা আমরা কাজে প্রমাণ পায়নি। এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ইসি কী ব্যবস্থা নেয় সেটা আমরা দেখব।’
আজ শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে দুই ধাপে ব্যাপক অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহিংসতায় শিশুসহ ৩০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগেও বিএনপি একাধিকবার ইসিতে গিয়ে এই নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছে।