গাজীপুরে শাশুড়ি হত্যার দায়ে জামাতাসহ চারজনের যাবজ্জীবন
গাজীপুরে শাশুড়ি হত্যার দায়ে জামাতাসহ চারজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।
একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নিহতের জামাতা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলাম, একই এলাকার দেলোয়ার হোসেন ও খলিল এবং নান্দুন এলাকার মাসুদ। তাঁদের বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর এলাকার মো. শাহজাহানের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪০) মহানগরের চান্দপাড়া এলাকায় তাঁর জামাতা সাইফুলের বাড়িতে একই সঙ্গে বসবাস করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে ১৯৯৪ সালের ৩০ অক্টোবর জামাতা সাইফুল, তাঁর চাচাতো ভাই দেলোয়ার, মাসুদ ও খলিল হাত-পা বেঁধে আলেয়া বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় পরের দিন নিহতের ভাই আবুল হোসেন জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ জামাতা সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে সাইফুল সহযোগীদের নিয়ে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশীদ অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন নিহতের জামাতাসহ ওই চারজনের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামিরা।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শরীফ ফজলে রাব্বী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর, এম এ আউয়াল প্রমুখ।