ময়মনসিংহে নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা দাবি

ময়মনসিংহে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে সর্বহারা পার্টির পরিচয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চাঁদা না দিলে অপহরণের হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনায় ময়মনসিংহের দুটি থানায় আজ মঙ্গলবার দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মইনুল হক বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশ যেকোনো ধরনের বেআইনি কাজ প্রতিরোধ করবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
সর্বহারা পার্টির হুমকি পাওয়া ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শানিয়াজ্জামান বলেন, আজ বিকেল ৩টা ৪২ মিনিটে তাঁর মুঠোফোনে একটি কল আসে। কলদাতা তাঁকে সর্বহারা পার্টির নাম ব্যবহার করে বলেন, ‘আজকে তোর শেষ দিন। সাবধান।’ বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। তিনি ফুলবাড়ীয়ার নাওগাঁও, ফুলবাড়িয়া, দেওখোলা ও বালিয়ান ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর মুঠোফোনে কল দিলেও ব্যস্ততার জন্য তিনি রিসিভ করতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি জেলার সব নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবদুর রশিদকেও একই নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে মুক্তাগাছার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে হালুয়াঘাট নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ঢালি ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান সরকারকেও।’
মুক্তাগাছার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর জানান, মহিউদ্দিন নামের একজন ফোন করে তাঁকে বলেন, তাদের কিছু লোক ভারতে চিকিৎসাধীন আছেন। বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে ৩০ লাখ টাকা লাগবে। হেল্প না করলে জোর করে নেবে বলে হুমকি দেয়।
একই ধরনের হুমকি পান ঈশ্বরগঞ্জের নির্বাচন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান সরকার। তাঁকে গালিগালাজ করে টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের জিডির বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান ও ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি রিফাত খান রাজিব জানান, জিডি তদন্ত করতে এসআই মাসুদ জামালী ও এসআই মো. কাইয়ুমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।