ময়মনসিংহে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার ৫

ময়মনসিংহে দুর্নীতির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যান, ব্যাংক ও সরকারি কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জেলার ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রুকনুজ্জামান, রূপালী ব্যাংকের ফুলবাড়ীয়া শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম, ধোবাউড়া উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শফিকুল ইসলাম, পিডিবির ময়মনসিংহের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ-১ এর সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম ও জুনিয়র হিসাবরক্ষক হোসনে আরা।
ময়মনসিংহ দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রূপালী ব্যাংক ফুলবাড়ীয়া শাখার সেকেন্ড অফিসার মোর্শেদ আলম ১৭ জুলাই ২০১৪ থেকে ৫ জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত সময়ে ভুয়া ভাউচার বানিয়ে গ্রাহকের হিসাব থেকে ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত শেষে গত ১৪ জানুয়ারি তিনি ফুলবাড়ীয়া থানায় মামলা করেন। আজ ভোরে বাড়ি থেকে মোর্শেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ফুলপুর উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে (বর্তমানে ধোবাউড়া উপজেলায় কর্মরত) ধোবাউড়া বাজার থেকে এবং তাঁর অপকর্মের সহযোগী ফুলপুরের রামভদ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান রুকনুজ্জামানকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রকল্পের ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সাবেক উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ ফুলপুর থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আজ ভোরে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে পিডিবির ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ-১ কর্মরত সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম ও জুনিয়র হিসাব রক্ষক হোসনে আরাকে শহরের খাগডহর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ দুজনের বিরুদ্ধে ৫৭ জন গ্রাহকের প্রাক্কলন ও সংযোগের এক লাখ ২২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।
দুদক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে আজ দুপুরে ২ নম্বর জিআর, ৬ নম্বর জিআর ও ১ নম্বর জিআর আমলি আদালতে হাজির করা হলে আদালত সবাইকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তাঁরা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।