পেছনে থেকে গলায় ছুরি, লুটিয়ে পড়ল দেহ
রাজশাহীতে সাফিয়া খাতুন বুলবুলি (২৪) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তাঁর স্বামী আইনাল হককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত আরো একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে পবা উপজেলার বায়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর সাগর নামে পাঁচ বছরের এক ছেলে রয়েছে।
প্রতিবেশী শরিফুল ইসলাম শরিফ জানান, স্থানীয় হিমালয় কোল্ডস্টোরে কাজ করেন আইনাল হক। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। সকালেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। ১০টার দিকে সাফিয়া বাড়ির আঙিনায় বসে গোবরের নোন্দা (জ্বালানি) তৈরি করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে তাঁকে মাটিতে ফেলে গলায় ছুরি চালিয়ে দেন আইনাল। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাফিয়া।
ঘটনা দেখতে পেয়ে সাফিয়ার জা সুমি বেগম তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁর ওপরও হামলা চালান আইনাল। গুরুতর আহত অবস্থায় সুমিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে আইনালকে পিটুনি দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ রক্তমাখা ছুরিসহ তাঁকে আটক করে।
প্রতিবেশীদের কেউ কেউ জানান, আইনাল হক খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। স্ত্রীকে হত্যার পর রক্তমাখা ছুরি নিয়ে বাড়ির বাইরে গিয়ে আইনাল উন্মাদনা দেখান। লোকজনকে ওই ছুরি নিয়েই তাড়া করেন। এ সময় ভয়ে তাঁর কাছে কেউ যেতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা কৌশলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে থানায় খবর দেয়।
নগরীর শাহ্ মখদুম থানার সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন জানান, আইনাল হক কোল্ডস্টোরে চাকরি করেন। কাজেই তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয় না। সাফিয়ার মরদেহের সুরতহাল তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।