নির্বাচন কমিশনে সিপিবি ও বাসদের স্মারকলিপি
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত এবং প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) একটি স্মারকলিপি দিয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা উত্তরের সিপিবি সমর্থিত সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল কাফির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এই স্মারকলিপি প্রদান করে। নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম কমিশনের পক্ষে তা গ্রহণ করেন।
আবদুল্লাহ কাফি সাংবাদিকদের বলেন, যেখানে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার টাকা, সেখানে সিটি নির্বাচনের কাউন্সিলর পদে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের প্রার্থীদের টিআইএন বাধ্যতামূলক করা সংবিধান পরিপন্থী।
সিপিবি ও বাসদের দাবির মধ্যে রয়েছে—বিনামূল্যে প্রার্থীদের ভোটার তালিকার সিডি সরবরাহ, তফসিল ঘোষণার আগে যারা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, কালো টাকা ও প্রশাসনিক কারসাজি বন্ধ এবং নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হেলেনা জাহাঙ্গীর নির্বাচন কমিশনে এসে নির্বাচনের আচরণবিধি যথাযথ পালনে ইসিকে কঠোর হওয়ার অনুরোধ করে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহারের সুযোগ নেই। অথচ সম্ভাব্য অনেক মেয়র পদপ্রার্থীই নির্বাচনকে দলীয়ভাবে নিয়েছেন, যা তাঁর বিবেচনায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। তিনি দলীয় ব্যানারে কেউ যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে ব্যাপারেও নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ড. এমাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে শত নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য নির্বাচন পেছানোর অনুরোধ করবেন তাঁরা। এদিকে, এখলাসউদ্দিন মোল্লাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছেন রিটার্নিং অফিসার।