নাশকতাকারী, অর্থদাতাদের ধরতে ‘ব্লক রেইড’ অব্যাহত
ঢাকা মহানগরীর ‘জরুরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে’ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ‘ব্লক রেইড অভিযান’ অব্যাহত রয়েছে । ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন এবং জামায়াত ও শিবির কর্তৃক আন্দোলনের নামে’ যারা নাশকতা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, বিশেষ এ অভিযানের মাধ্যমে তাদের ‘আইনের আওতায়’ আনা হচ্ছে। একই সাথে ধরা হচ্ছে অর্থের জোগানদাতাদেরও।
রাজধানীতে এ ব্লক রেইড অভিযান গতকাল সোমবার এক মাস অতিক্রম করেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে তা আবার আটদিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এটি চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এতে অংশ নিচ্ছেন পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা।
ব্লক রেইড পরিচালনার জন্য ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার একটি চিঠিও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে “অভিযানের প্রেক্ষাপট’ তুলে ধরে বলা হয়, ‘৫ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে বিরোধী দল তথা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন এবং জামায়াত ও শিবির কর্তৃক আন্দোলনের নামে ঢাকা মহানগরীসহ দেশব্যাপী নাশকতা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রলবোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ জনসাধারণকে হত্যা, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে দেশব্যাপী অরাজকতা চালিয়ে আসছে।”
এতে আরো বলা হয়, ‘উল্লেখিত কার্যক্রম চালনার জন্য এই অপশক্তি প্রচুর কালো টাকা ছড়ানোর মাধ্যমে সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও মাদকাসক্তদের এ কাজে নিয়োজিত করেছে।’
অরাজকতা সৃষ্টিকারী ও তাদের অর্থের জোগানদাতাদের ‘অভিযানে’ গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে উল্লেখ করা ‘অভিযানের উদ্দেশ্য’ অংশে। এতে বলা হয়, ‘ঢাকা মহানগরীতে পরিচালিত এই নাশকতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ ও অর্থ লগ্নিকারী বা অর্থ জোগানদাতা ব্যক্তি চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে এলাকায় গোপনীয় অগ্রিম তথ্য সংগ্রহপূর্বক ব্লক রেইডের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি যেসব সন্ত্রাসী, বোমাবাজ, মাদকাসক্ত ও ছিনতাইকারী তাদের ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তাদেরও চলমান ব্লক রেইডের মাধ্যমে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনতে হবে।’
ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মঙ্গলবার এনটিভি অনলাইনকে জানান, অভিযানকে সফল করার জন্য সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি নতুন কিছু নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি মঙ্গলবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবই করবে।’
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে, তখনো তারা রাজধানীর অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে পুলিশ ও র্যাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়ায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছিল।