মৌলভীবাজারে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে জালভোট, পুলিশের গুলি
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া অন্য একটি ইউনিয়নে ব্যালট ছিনিয়ে দেওয়ার সময় পুলিশ গুলি ছুড়েছে। আটক করা হয়েছে তিন জনকে।
বৃহস্পতিবার বড়লেখায় ১০টি ইউনিয়নে ৯১টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টির ও বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ৩৩ জন চেয়ারম্যান পদে এবং ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মোট ৪৪৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার এক লাখ ৪৬ হাজার ৭০২ জন।
জুড়ী উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নের ৪৯টি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে ২১ জন আর সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার ৮০ হাজার ৯৬১ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টায় বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের মিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১ ও ৩ নম্বর বুথে ১৫-১৬ জনের সন্ত্রাসী ঢুকে পোলিং কর্মকর্তাদের ভয় দেখিয়ে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর তিনটি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাতে ফুটবল ও নৌকা প্রতীকের সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ঢুকাতে থাকে।
এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ফুটবল প্রতীকে সিল মারা ৩১টি ব্যালট পেপার উদ্ধার ও দুজনকে আটক করে।
মিহারী কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুনীল চন্দ্র নাথ জানান, ‘দুর্বৃত্তরা মেম্বার ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কয়েকটি ব্যালট বই কেন্দ্রে ঢুকে ছিনিয়ে নেয়। এর মধ্যে ফুটবল প্রতীকে সিল মারা ৩১টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে।’
একই উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরকারদলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকরা বিকেল সাড়ে ৩টায় জালভোট দিতে কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা চালালে পুলিশ, বিজিবি সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ছাড়া তালিমপুর, দক্ষিণ শাহবাজপুর, দাসেরবাজার ও নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মিল খোঁজে পাননি প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা।
বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ খসরুজ্জামান নামে এক সমর্থককে আটক করে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল জানান, কিছু লোক বিচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালালে পুলিশ প্রতিহত করতে ছয়টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে।