চট্টগ্রামে বিদায় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী হত্যায় মামলা

চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদায় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চকবাজার থানায় মামলা করেছে পরিবার। নিহত শিক্ষার্থী সোহেল আহমেদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আজ বুধবার সকালে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজ আহমেদ জানান, সোহেল আহমেদের বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য ক্যাম্পাসের সিসিটিভির ফুটেজ থেকে আসামিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। সোহেল মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।
নগরীর বায়েজিদ শেরশাহ এলাকায় সোহেল আহমেদের দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে বুধবার দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়াসা বাণিজ্য ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের বিরোধের সোহেল আহমেদ নিহত হন। এ ঘটনার জের ধরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, ক্যাম্পাস, ভবন, গাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সোহেল হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা কেউ ছাত্রলীগের নয়।
তবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জানে আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে আ জ ম নাছিরকে অতিথি করার জন্য সোহেল মেয়র নাছিরের কাছে যান। কিন্তু তিনি ব্যস্ত থাকায় উপাচার্য ড. অনুপম সেনকে অতিথি করার জন্য পরামর্শ দেন। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের আরেকটি পক্ষ সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদকে অতিথি করতে বলেন। এতে অন্যরা অসন্তুষ্ট হয়। এ জন্য সোহেলের সঙ্গে তাদের মনোমালিন্য হয়। একপর্যায়ে তারা সোহেলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোহেলের লাশ দেখার পর সাংবাদিকদের মেয়র নাছির বলেন, সন্ত্রাসী যে-ই হোক না কেন, তাকে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা হবে।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, এই পবিত্র ক্যাম্পাসে ষড়য়ন্ত্রকারীরা রক্ত ঝরিয়ে তাকে সন্তানহারা করেছে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি ও খুনিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।