সিরাজগঞ্জ সদরে ফুরফুরে আ. লীগ, শঙ্কায় বিএনপি
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের লাগাতার প্রচারে এই উপজেলায় নির্বাচন এরই মধ্যে জমে উঠেছে। এসব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত বেশ কজন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান বাস্তবতায় নিজেদের বিজয় অনেকটা নিশ্চিত মনে করে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। অপরদিকে নানা শঙ্কায় রয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঢিমেতালে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নৌকা আর ধানের শীষের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতীক এবং ইউপি সদস্যদের প্রচারে মুখর প্রত্যন্ত এলাকা। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে হাটবাজার, চায়ের দোকানগুলো। পাড়া-মহল্লায়, চায়ের দোকানের আড্ডায় চলছে ভোটের চুলচেরা বিশ্লেষণ।
১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪১ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ছাড়াও মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তিনজন, বিএনপির একজন বিদ্রোহী। এদের মধ্যে রতনকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর বিপক্ষে কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন তিনি।
অপরদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা নানা আশঙ্কার মধ্যদিয়ে অনেকটা ঢিমেতালে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার। কয়েকটি ইউনিয়নে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী ও জোটশরিক জামায়াতের প্রার্থী থাকায় বিপাকে পড়েছে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া প্রার্থীরা।
১ নম্বর রতনকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত গোলাম মোস্তফা খোকনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম মোস্তফা খোকন বলেন, অনুরোধ বা কোনো বল প্রয়োগ করা হয়নি। ইউনিয়নটি আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত হওয়ায় নিশ্চিত পরাজয় জেনেই বিএনপি প্রার্থী স্বেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্রেনজন চাম্মু গং বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। বিজিবি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নির্বাচনের দিন ভোর থেকে পুলিশ, র্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন।’ দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও নির্বাচনের দিন সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আশ্বাস দেন তিনি।