নিজামীর সঙ্গে পরিবারের সাক্ষাৎ
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারে দেখা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নিজামীর পরিবারের সদস্যরা কারাগারে প্রবেশ করেন। এরপর দেখা শেষে দুপুর ১টার দিকে কারাগার থেকে বের হন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমিন মুঠোফোনে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত দেখা করার অংশ হিসেবে আজ দেখা করেছি। এ সময় আমার আম্মা সামছুন্নাহার নিজামী,আমি ব্যারিস্টার নাজিব মোমিন ও আমার ভাই ডা. নাঈমুর রহমান এবং আমাদের তিন ভাইয়ের স্ত্রী সুর্বণা, রায়য়ান ও ফালুয়া উপস্থিত ছিলেন।’
কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে নাজিব মোমিন বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক বিষয়ে এবং রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে পরামর্শ দিয়েছেন।’
এর আগে গত ১৬ মার্চ নিজামীর আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে একই কারাগারে দেখা করেন। ওই দিন নিজামী আপিলের চূড়ান্ত রায়ের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত ১৬ মার্চ সকালে নিজামীকে মৃত্যু পরোয়ানা পাঠ করে শোনানো হয় বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। ওই দিনই তিনি কারা কর্তৃপক্ষকে জানান,আপিলের চূড়ান্ত রায়ের রিভিউ চেয়ে আবেদন করবেন।
১৬ মার্চ সকাল ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে লাল কাপড়ে মোড়ানো নিজামীর মৃত্যু পরোয়ানা ও পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি কাশিমপুরে গিয়ে পৌঁছে বলে জানা যায়। পরে সকাল ১০টার পরে কনডেম সেলে গিয়ে তার পরোয়ানা ও রায় পড়ে শোনান কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক ও জেলার নাসিরউদ্দিন।
সে সময় নিজামী জেল সুপারকে জানান, তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আপিল বিভাগে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ আবেদন করবেন।
১৫ মার্চ বিকেলে নিজামীর ১৫৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় লিখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। তাঁর রায়ের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে অন্য বিচারপতিরাও স্বাক্ষর করেন।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।