বাউফলে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের সশস্ত্র হামলা
পটুয়াখালীর বাউফলের ভাংড়া গ্রামে গতকাল রোববার বিকেলে নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের (ঘোড়া মার্কা) কর্মী কসাই ফারুক ও জলিলের নেতৃত্বে তিন শতাধিক ক্যাডার দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ১০টি ঘর ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। তাদের বিরুদ্ধে কুপিয়ে মহিলাসহ ২৫ জনকে আহত করার অভিযোগও উঠেছে।
সহকারী পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান, রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাসের বড় ভাই সার্জেন্ট (অব.) সাইদুর রহমান নৌকা মার্কার গণসংযোগে ভাংড়া গ্রামের আজিজ চৌকিদারের বাড়িতে গেলে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের কর্মী কসাই ফারুক ও জলিলের নেতৃত্বে তিন শতাধিক সমর্থক দেশীয় রামদা, ছোরা, রড, ও লাঠি নিয়ে আওয়ামী লীগকর্মী আজিজ মৃধা, মেছের মৃধা, সুলতান মৃধা, মনু মৃধা, আজিজ চৌকিদার, খলিল চৌকিদার, দেলোয়ার চৌকিদার, হানিফ চৌকিদার, মিলন চৌকিদার ও ছালাম চৌকিদারের ঘরে হামলা চলিয়ে ভাঙচুর করে লুট পাট চালায়। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পিন্টু চৌকিদার (১৯), জহিরুল চৌকিদার (৩৪), আরিফ চৌকিদার (২০), সাদ্দাম চৌকিদার (২৫), রেজাউল চৌকিদার (২৮), জলিল চৌকিদার (৩৫), দেলোয়ার চৌকিদার (৪৯), মিলন চৌকিদার(৫৬), মনু মৃধা(৫৬), আজিজ মৃধা(৬০), মেছের আলী মৃধা (৫৬), আমিনুল(২৭), হানিফ চৌকিদার (৫৯), আসমা (৫৬), রেহেনা বেগমসহ (৪৫) ২৫ জন আহত হয়।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আহতদের নগরের হাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পিন্টু চৌকিদারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়, পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে বরিশাল মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ভাংড়া ও নিজ বটকাজল গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সাধারণ ভোটাররা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।