নড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পন্ডিতসার শিমুলতলা গ্রামে রিগান দেওয়ান (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার রাতে সিঁদকেটে ঘরে ঢুকে নিহতের বাবা-মায়ের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে দুবৃত্তরা রিগানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নড়িয়া থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বাড়ির পাশে মুদি দোকানের ব্যাবসা করতেন রিগান দেওয়ান। ওই এলাকায় শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি শালধ গ্রামের নাছির ফকির ও পন্ডিতসার গ্রামের যুবলীগ কর্মী মিন্টুর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল।
কয়েকদিন আগে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহ আলম তপদার ও মিন্টু দোকানে এসে নাছির ফকিরের লোকজনদের দোকানে বসতে দিতে নিষেধ করে রিগানকে। এ নিয়ে রিগানের সাথে ওই দুইজনের কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিগানকে হত্যা করার হুমকি দেয় তাঁরা।
এদিকে নিহত রিগান দেওয়ানের মা মনোয়ারা বেগম জানান, খুনের সময় শাহ আলম তপদার ও মিন্টুকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তবে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইমরান হাওলাদার নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়র করা হয়েছে।
এদিকে নিহত রিগান দেওয়ানের মা মনোয়ারা বেগম কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেদককে বলেন, আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আমার সামনেই আমার সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের সাথে শাহ আলম তপদার ও মিন্টু ছিল। চাকু দিয়ে কুপিয়ে আমার বাবার নাড়ি-ভূড়ী বের করে দিয়েছে ওরা। আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ আলম তপদার ও মিন্টু কাউকেই এলাকায় পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে এই দুইজনকে এলাকায় দেখা যাচ্ছেনা।
নাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মনে হচ্ছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইমরান হাওলাদার নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।