যুবলীগ নেতার কান কর্তন, পরে উদ্ধার
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি শেখ শহিদ হোসেন বাবুলের একটি কান কেটে ফেলেছে এক যুবক। আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মুক্তির মোড়ে বাবুলের কানে-মুখে কথা বলার সময় ওই যুবক ছুরি দিয়ে একটি কান কেটে ফেলেন।
বিকেলে আবুল কালাম আজাদ নামের ওই যুবককে আটক করে পুলিশ। সেই সঙ্গে যুবলীগ নেতার কাটা কান উদ্ধার করে। কান হারানো যুবলীগ নেতাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কান কাটার ঘটনায় এলাকায় হাস্যরসসহ বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, উপজেলার মুক্তির মোড়ে চায়ের দোকানে চা পান এবং অন্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় একই এলাকার আবুল কালাম আজাদ নামের এক যুবক আসেন। তিনি যুবলীগ নেতা বাবুলের কানে-মুখে কথা বলতে গিয়ে ছুরি দিয়ে তাঁর একটি কান কেটে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবলীগ নেতাকে পাইকগাছায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে পাইকগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মান্নান ফকিরের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে উপজেলার গদাইপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদকে (২২) আটক করে। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে কর্তন হওয়া কান উদ্ধার করে।
পাইকগাছা থানার ওসি জানান, এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলা নেওয়া হবে। কান উদ্ধার ও আটকের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এদিকে কান কাটার কারণ জানতে চাইলে পাইকগাছার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতা বাবুল স্থানীয় বোয়ালিয়া ব্রিজের কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন। ওই সময় আবুল কালাম আজাদ তাঁদের লক্ষ না করেই সামনে দিয়ে চলে যেতে থাকেন। এতে বাবুল ক্ষুব্ধ হয়ে বহু লোকের সামনে তাঁর কানে থাপড় মারেন। এতে আবুল কালাম আজাদের কানে সমস্যা হয়। ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আজ তিনি ছুরি দিয়ে বাবুলের কান কেটে ফেলেন।
এদিকে কান কাটার ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে যুবলীগের নেতাকর্মীরা পাইকগাছায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।