মান্নার ডিভিশন ও সুচিকিৎসার অনুরোধ স্ত্রীর

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে হেফাজতে নিয়ে ‘কী ধরনের আচরণ করা হয়েছে’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী মেহের নিগার। আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘একজন অসুস্থ মানুষের প্রতি রিমান্ডের নামে কী ধরনের আচরণ করা হয়েছে, গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি হওয়া থেকেই বোঝা যায়।’
রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেহের নিগার জানান, মান্না আদালতে বিচারকের কাছে তাঁর অসুস্থতার কথা জানিয়ে ডাক্তার ও আইনজীবীর উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছিলেন। বাংলাদেশের আইনে এ ধরনের বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষ এতে কর্ণপাত করেনি।
মান্না নির্দোষ দাবি করে মেহের নিগার বলেন, সাদেক হোসেন খোকার সাথে মান্নার ফোনালাপ বিকৃত করে ওই ফোনালাপ প্রচার করা হয়েছে।
মান্নাকে জামিনে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মান্নার স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাঁর ডিভিশন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি। তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়ারও আবেদন জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, আইনি প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠুভাবে বিচার হলে মান্না সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন।’
মান্নাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে মেহের নিগার বলেন, ‘মান্না আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেকোনো প্রকার আইনানুগ বিচারের সম্মুখীন হতে রাজি আছেন। যেহেতু মান্না হৃদরোগ, মেরুদণ্ডের হাড়ে ক্ষয়, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন, তাই তাঁকে রিমান্ডে না নিয়ে জেলগেটে ডাক্তারের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে মান্নার মেয়ে নিলম মান্নাও উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় হেফাজতে থাকা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না গত ১১ মার্চ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সকালে তাঁকে ছাড়পত্র দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাদা পোশাকধারী পুলিশ বনানীর একটি বাড়ি থেকে মান্নাকে তুলে নিয়ে যায় বলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযোগ অস্বীকার করে। প্রায় ২১ ঘণ্টা পর র্যাব জানায়, তাঁকে আটক করা হয়েছে। পরে তারা মান্নাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে।
বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনালাপে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীকে উৎসাহিত করতে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ৫ মার্চ গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন।