বাল্যবিবাহের আয়োজন, পাঁচজনের কারা ও অর্থদণ্ড
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বাল্যবিবাহ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় দুই কাজিসহ পাঁচজনকে কারা ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁচবিবি উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বাগজানা ইউনিয়নের চক শিমুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় মেয়ের বাড়িতে বাল্যবিবাহ দেওয়ার সময় মেয়ের বাবা, হবু বর, হবু বরের বাবা, এক সাব-কাজিসহ চারজনকে আটক করে পাঁচবিবি উপজেলা সদরে আনা হয়। পরে বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির হওয়া মূল কাজিসহ মোট পাঁচজনকে এসব দণ্ড দেওয়া হয়।
এর মধ্যে মেয়ের বাবা আবুল কালাম আজাদ (৪১), হবু বর মো. পারভেজকে (২২) এক মাসের কারাদণ্ড, সাব-কাজি আমিনুল ইসলাম (৩৮) ও হবু বরের বাবা লুৎফর রহমানকে এক হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডসহ এক মাসের কারাদণ্ড এবং মূল কাজি শফিকুল ইসলামকে (৪৪) এক হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কিরণ কুমার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের চকশিমুলিয়া গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদের মেয়ের সঙ্গে জয়পুরহাট সদর উপজেলার খনজনপুর এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে মুদি দোকানি পারভেজের বিয়ের আয়োজন করা হয়। মেয়ের বয়স ১৪ বছর বলে জানান ওসি।
ওসি কিরণ কুমার আরো জানান, এ খবর জানতে পেয়ে পাঁচবিবি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ ওই বিয়ে বন্ধ করে বিয়ের সঙ্গে জড়িত মেয়ের বাবা আবুল কালাম আজাদ, হবু বর পারভেজ, হবু বরের বাবা লুৎফর রহমান ও সাব-কাজি আমিনুল ইসলামকে আটক করে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দিন আল ফারুকের কার্যালয়ে হাজির করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দিন আল ফারুক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিবাহ দেওয়ার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে ওই চার ব্যক্তিকে অর্থ ও কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে একই আদালতে মূল কাজি শফিকুল ইসলামকে হাজির করা হলে তাঁকেও এক হাজার টাকার জরিমানা করা হয়।