ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে
ত্রিপুরা সরকার ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে আগামী ২৩ মার্চ থেকে বাংলাদেশে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা এরই মধ্যে ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৪৩ টাকা নির্ধারণ করেছি। ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের শুল্ক নির্ধারণের পর ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির একটি চুক্তি চূড়ান্ত হয়। বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি ভারত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হবে।
বার্তা সংস্থা বাসসকে মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ৩০ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। ত্রিপুরা সরকার গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে চেয়েছিল। কিন্তু কিছু প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এটি সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়, আরো ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অবকাঠামোগত কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। তার সঙ্গে আরো ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। প্রথমে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৪ দশমিক ৫ টাকা দরে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। বাকি ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে প্রতি ইউনিট ৬ টাকা দরে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক আরো জানান, ২০১৪ সালের পর থেকে ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। ভারতের পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন এবং বাংলাদেশের পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি গত ডিসেম্বরের পর থেকে নিজ নিজ দেশে সঞ্চালন লাইন পরীক্ষা করছে। ভারতের ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লা পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
ঢাকা ও ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষ ত্রিপুরা থেকে প্রতি ইউনিট ৬ দশমিক ৪৫ টাকা দরে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনতে সম্মত হয়েছে। ত্রিপুরার পালাটনা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এই বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে।