বই নেওয়ায় শিশুকে পিটিয়ে হাসপাতালে
কুষ্টিয়ার মিরপুরে হাবিবুর রহমান (১৩) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন এক ব্যক্তি। গতকাল বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় শিশুটি এখন মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যথায় কাতরাচ্ছে।
নির্যাতিত হাবিবুর রহমান মিরপুরের নাজমূল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা চলাকালে মজা করার ছলে হাবিবুর রহমানের ব্যাগ থেকে তার সহপাঠী নাহিদা খাতুন একটি খাতা বের করে নেয়। মাদ্রাসা ছুটি হলে বিকেলে পাশেই একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে হাবিবুর ব্যাগে খাতা না দেখে বিষয়টি জানতে পেরে নাহিদার কাছে খাতা চায়। নাহিদা খাতা না দিলে হাবিবুর নাহিদার একটি বই নিয়ে নেয়। এ সময় নাহিদা কোচিং থেকে বের হয়ে এসে তার চাচা মোজাম্মেলের কাছে নালিশ দেয়। মোজাম্মেল গাছের ডাল ভেঙে নিয়ে এসে প্রকাশ্যে বন্ধু ও প্রাইভেট শিক্ষকের সামনেই কথা বলার কোনো সুযোগ না দিয়ে অতর্কিতে হাবিবুরকে পেটাতে থাকেন। অমানুষিক মারপিটে একসময় হাবিবুর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মোজাম্মেল সেখান থেকে চলে যান। পরে হাবিবুরকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুরের সহপাঠী ও শিক্ষক এবং পরিবারের লোকজন মোজাম্মেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। হাবিবুরের বাবা ডালিম হোসেন মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।
হাবিবুরকে চিকিৎসা দেওয়া মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহানি জানান, চাপা ধরনের মারপিট হয়েছে। তাতে শিশু হাবিবুরের পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কালশিরা ও ফোলা দাগ হয়েছে। চোখের পাশেও মারা হয়েছে। হাত ভেঙে গেছে কি না এক্স-রে প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই জানা যাবে। আর এই ব্যথা কমতে সময় লাগবে।
মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত মোজাম্মেলকে আটকের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই তিনি আত্মগোপন করেছেন।