নেত্রকোনায় সওজের জায়গা দখলের হিড়িক
ভবিষ্যতে সড়ক প্রশস্ত করার ভাবনা থেকে নেত্রকোনা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে বেশ কিছু জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। তবে বিভাগটির নিয়মিত তদারকির অভাবে সেই জমিতে এখন চলছে দখলের হিড়িক। যে যেভাবে পারছে দখল করে নিচ্ছে সরকারি এসব জমি, আর তা দেখেও যেন দেখছে না কর্তৃপক্ষ।
সময়ের চাহিদা চিন্তা করে প্রয়োজনে যেন নেত্রকোনা-ঢাকা সড়ক প্রশস্ত করা যায়, সে জন্য নেত্রকোনা-ঢাকা সড়কের দুই পাশে অন্তত ৩০ ফুট করে জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে এসব জমি দেখভাল বা নিয়মিত তদারকি করেনি সরকারের বিভাগটি। আর এ সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে কিছু মহল। স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে ভুঁইফোড় বিভিন্ন সংগঠনের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দখল করে নিয়েছে সওজের এই জমি। সড়কের ফুটপাতসহ সওজের জায়গা দখল করে সেখানে দোকানপাট, বিভিন্ন সংগঠনের নামে অফিস ও বাসাবাড়ি নির্মাণ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নেত্রকোনা শহরের আনন্দবাজার মোড় থেকে শ্যামগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে সওজের বেশিরভাগ জায়গাই বেদখল হয়ে গেছে। বাসস্ট্যান্ড, সাকুয়া বাজার, চল্লিশা বাজার, বাগড়া বাজার, হিরণপুর বাজার, ভবের বাজার, শ্যামগঞ্জ বাজারের দুই পাশের জায়গা বিভিন্নভাবে দখল করে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কিছুদিন আগে সাকুয়া বাজারের প্রায় ৫০ শতক জায়গা দখল করে সেখানে অসংখ্য পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকায় ভাড়া দিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। সড়কের ফুটপাতগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রকাশ্যে এভাবে সরকারি জমি দখল হয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই সওজের। দখলদার চক্রের বিরুদ্ধে সওজ কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান সড়কের বিভিন্ন স্থান বেদখলের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করে অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এতদিন কেন এসব জমি দখলের বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে জানতে আজ বৃহস্পতিবার মো. মাসুদ খানের সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।