মেহেরপুরে তরুণ লীগ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মেহেরপুরে ছাত্রলীগ ও তরুণলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে তিনজন। আজ রোববার দুপুরে কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ রানা (২৮) ও ইজিবাইক চালক জুয়েল (১৯)। আহত অপরজন হলেন শহর ছাত্রলীগ সভাপতি মাফিজুর রহমান পলেন (৩০)। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জুয়েলকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বাকি দুজনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সঙ্গে মেহেরপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কলেজের জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন ও শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মাফিজুর রহমান পলেন বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। এখানে তরুণলীগের দুই কর্মীর সাথে ছাত্রলীগের বাগবিতণ্ডা হয়। দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা কলেজ মোড়ে তরুণ লীগের অফিসে হামলা চালায়। দুপুর ২টার দিকে তরুণ লীগ নেতা-কর্মীরাও ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ।
মেহেরপুর থেকে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুলির ঘটনা স্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার শেখ জানান, পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অলোক কুমার জানান, আহতদের মধ্যে মাফিজুর রহমান পলেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।