কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি বন্ধ, দুর্ভোগ
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর কুয়াশায় দিক হারিয়ে মাঝনদীতে নোঙর করে আছে যাত্রী ও যানবাহনবোঝাই চারটি ফেরি।
এরই মধ্যে ফেরি পারের অপেক্ষায় উভয় পাড়ের ঘাট এলাকায় আটকে পড়েছে পাঁচ শতাধিক বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এর মধ্যে পাটুরিয়া ঘাটেই রয়েছে প্রায় ১৫০টি ট্রাকসহ আড়াই শতাধিক যানবাহন। আর সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উভয় পাড়ের ঘাট এলাকায় ফেরি পারের জন্য আসা যানবাহনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এতে যাত্রীসহ যানবাহন শ্রমিকরা দুর্ভোগে পড়েছেন। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের এজিএম (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ নৌপথ পুরোপুরি কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করতে গিয়ে কুয়াশায় দিক হারিয়ে রো রো ফেরি (বড়) শাহজালাল, খানজাহান আলী, ইউটিলিটি (মাঝারি) হাসনাহেনা ও রজনীগন্ধা ফেরি মাঝনদীতে নোঙর করে আছে।
পাটুরিয়া ঘাটে আরো চারটি ও দৌলতদিয়া ঘাটে আটটি ফেরি পন্টুন ও এর পাশে অবস্থান করছে। কুয়াশা কেটে গেলে পুনরায় ফেরি চালু করা হবে। তখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আটকেপড়া যানবাহন আগে ফেরি পারের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
যশোরগামী হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাসের চালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে এসেছেন। কুয়াশায় ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় ঘাটে আটকে থাকতে হচ্ছে। কুষ্টিয়াগামী পূর্বাশা বাসযাত্রী মোনালিসা জামান জানান, দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকে থাকায় খাওয়া-দাওয়াসহ নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। হোটেলগুলোতেও খাবারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। রাতে ঘাট এলাকায় দীর্ঘ সময় থেমে থাকা বাসে মালপত্রসহ নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন তিনি।
পাটুরিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক গোলাম মোর্শেদ খাইরুল্লাহ জানান, প্রাকৃতিক কারণেই যাত্রীদের এই ভোগান্তি। ঘাট এলাকায় পুলিশি নজরদারি রয়েছে। যাত্রীদের ভয়ের কোনো কারণ নেই বলেও জানান তিনি।