পাবনার বৌটুবানী পাঠশালায় সাহিত্য আড্ডা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/01/27/photo-1453909964.jpg)
কবি, সাহিত্যিক-সাংবাদিক এবং সংস্কৃতিসেবীদের নিয়ে জমজমাট আড্ডা হয়ে গেল পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার নিভৃত চরগড়গড়ি গ্রামের বৌটুবানী পাঠশালায়।
আড্ডাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর থাকে মুখর থাকে কবি মজিদ মাহমুদ পৈত্রিক বাড়ির বৌটুবানী পাঠশালা। আড্ডায় প্রধান অতিথি ছিলেন কবি নজরুল পরিষদের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলা একাডেমি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
আড্ডার উদ্বোধক ছিলেন পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি এম সাইদুল হক চুন্নু। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিমান কবি ও গবেষক মজিদ মাহমুদ আড্ডা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন জাহেদী, কবি ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি গীতিকার আব্দুল খালেক বিশ্বাস, সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক সংগঠক আখতারুজ্জামান আখতার।
আড্ডায় ঢাকা থেকে আগতদের মধ্যে ছিলেন, কবি ও নাট্য ব্যক্তিত্ব মধুসূদন মিহির চক্রবর্তী, কবি সোহাগ সিদ্দিকী, কবি নাহিদা আশরাফী। এ ছাড়া আড্ডায় অংশ নেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, কবি লেখক মোখলেস মুকুল, নাসরিন নিহার, শামসুন্নাহার বর্না, উন্নয়ন সংগঠক ও সাংস্কৃতিককর্মী মাজহারুল ইসলাম, আবু সাইদ, সালেক শিবলু, রেহেনা সুলতানা শিল্পী, সীমান্ত সেতু, আলাউদ্দিন প্রমুখ।
আড্ডা অনুষ্ঠানে গান, কবিতা ও কথামালা দিয়ে কবি সাহিত্যিক-সাংবাদিক-সংস্কৃতিসেবীরা মেতে ওঠেন। এ সময় কবি নূরুল হুদা এবং কবি মজিদ মাহমুদও সবাইকে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। আড্ডা অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু বলেন, মানুষ একসময় ইহলোক ত্যাগ করলেও তাঁর কৃতকর্মের মধ্য দিয়ে তিনি জীবিত থাকেন। কবি মজিদ মাহমুদ নিভৃত গ্রামে নিজের পৈত্রিক বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষাসহ শিশুদের বিকাশ সাধন ও কবি, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবীদের যে শান্তির জায়গা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুনেছেন তা একদিন সফল হবে। কবি মজিদ মাহমুদও তাঁর কীর্তির মধ্য দিয়ে জীবিত থাকবেন।
জাতিসত্তার কবি নূরুল হুদা বলেন, কবি মজিদ মাহমুদের পৈত্রিক বাড়িটি মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। সেটি উৎসর্গ করে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে তিনি ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, মজিদ কবি হিসেবে যেমন এই প্রজন্মের জন্য অহঙ্কার তেমনি নিজের পৈত্রিক বাড়িটি শিশুদের শিক্ষার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা, জনসাধারণের জ্ঞানার্জনের জন্য লাইব্রেরি এবং কবি সাহিত্যিক-সংস্কৃতিসেবীদের বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় আগামী প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।
নিজের প্রিয় ছাত্র মজিদের প্রতি শুভাশীষ জানিয়ে লেখক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন জাহেদী বলেন, মজিদের বৌটুবানী পাঠশালা একদিন রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে রূপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।