শিগগিরই বাল্যবিবাহ বন্ধ হবে : স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, ‘দেশ এখন স্বাস্থ্য,শিক্ষায় উন্নতি লাভ করেছে। দেশের দরিদ্রতা কমেছে। তবে বাল্যবিবাহ এখনো কমানো যায়নি। সরকার এখন বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাই খুব শিগগিরই বাল্যবিবাহ বন্ধ হবে।’
আজ রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে সচেতনতামূলক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌসের সভাপতিত্বে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকারের পাশাপাশি কাজী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, সমাজের সব শ্রেণি ও পেশার মানুষসহ গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।’
দরিদ্রতা, সচেতনতার অভাব, ইভ টিজিং, সুশিক্ষার অভাবসহ বাল্যবিবাহের কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করা হবে।’
রাশিদা ফেরদৌস বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় শতভাগ বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা-সেমিনার করা হয়েছে। ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোথাও বাল্যবিবাহের খবর পাওয়া মাত্রই সেটিকে বন্ধ করার পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ দেওয়ান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহাদত খন্দকার, জজকোর্ট পিপি মো. আবদুস সালাম, বেসরকারি এনজিও আরবের নির্বাহী পরিচালক এ এস এম নুরুল আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহ নিরোধ বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন এনজিও পিপলস অ্যাডভান্সমেন্ট সোস্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (পাসা) নির্বাহী পরিচালক মো. ফরিদ খান।
সমাবেশে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেয়। প্রকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী উন্নয়ন এবং বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, আরব, পাসা, ব্র্যাক, জিকেটি, জিএসএস, বারসিক, স্টেপ, ওএসপি, সিডস, অ্যাসেড, ব্যুরো বাংলাদেশ, এমডিপিওডি, স্বনির্ভর মহিলা সংস্থা, অগ্রপথিক, মসজিদ কাউন্সিল, মুসলিম এইড, স্যাক সিডন, আশা ও খান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এই সমাবেশে উপস্থিত সবাই ‘আর নয় বাল্যবিবাহ’ মর্মে শপথ নেন।