চরমপন্থীদের হাতে আটঘরিয়ায় এক বছরে ১১ জন নিহত!
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় গত এক বছরে চরমপন্থী ও সর্বহারা পার্টির সন্ত্রাসীদের হাতে ১১ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি সন্ত্রাসীদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
সর্বশেষ গত বুধবার রাতে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আটঘরিয়া উপজেলা কৃষক সমিতির সহসভাপতি আবদুর রশিদকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আটঘরিয়া থানায় মামলা করলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে হরতাল-অবরোধসহ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা।
আজ শুক্রবার রাত ৮টায় আটঘরিয়ার একটি পত্রিকা অফিসে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ এবং নিহত আবদুর রশিদের পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নিহত আবদুর রশিদের স্ত্রী নাজমা খাতুন। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, পলিটব্যুরোর অপর সদস্য নূর আহমেদ বকুল, ওয়ার্কার্স পার্টির পাবনা জেলা সভাপতি কমরেড জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, ১৪ দলীয় জোট হিসেবে তাঁরা সরকারের অংশ হলেও পাবনায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার পেশা হলো থানার দালালি করা। তাদের সঙ্গে পুলিশের অনৈতিক সম্পর্ক থাকায় গ্রামাঞ্চলে সন্ত্রাসীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গত এক বছরে শুধু আটঘরিয়া থানা এলাকায় চাচকিয়া গ্রামের আবদুর রশিদ, চৌবাড়িয়া গ্রামের আরশেদ, নরজান পূর্বপাড়া গ্রামের মিঠু, পয়দা গ্রামের রিপন, দুলাল মাস্টার, আরজান মেম্বার ওরফে আরাই মেম্বার, চকছাতিয়ানী গ্রামের মিঠুন ওরফে মিঠু, মেঘাপাড়া গ্রামের রানা, ক্ষতবাড়ি গ্রামের আনতাজ, নগরচাচকিয়া গ্রামের আজাদ এবং শহীদ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন।
নেতারা বলেন, রশিদ হত্যার ঘটনায় সর্বহারা পার্টির নেতা সন্ত্রাসী নাজমুল, জাহাঙ্গীর, তামজিদ, মুসা, খালেক, আলাল ওরফে পিচ্চি, আফাজ ওরফে নছা, আলতাফ হোসেন, মজিদ, আমির, সেলিম, আলতাফ, তাসেদ খাঁ, আলমগীর ও বকুলসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আটঘরিয়া থানায় মামলা করলেও পুলিশ একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে হরতাল অবরোধসহ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দেন।