লক্ষ্ণীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত আরিফ মারা গেছেন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/03/11/photo-1426091418.jpg)
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত আরিফ হোসেন (২২) আজ বুধবার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশের দাবি, ১০ দিন আগে গত ১ মার্চ যুবদল ও জামায়াতকর্মীদের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘যুবদলকর্মী’ আরিফ গুলিবিদ্ধ হন। তবে তাঁর পরিবারের দাবি, আরিফ কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।
আরিফের বাড়ি কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামে। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর বৃদ্ধা মা জোহরা বেগম দিনভর আহাজারি করেছেন।
নিহতের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আরিফ কোনো রাজনীতি করত না। সে একজন কাঠমিস্ত্রি। গত ১ মার্চ দুপুর ২টায় কাজের বিরতিতে আরিফ বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির সামনে পৌঁছালে পরিবহনে আগুন দেওয়ার অভিযোগে আরিফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ওই রাতে পুলিশ তাঁকে গুলি করে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজায়।’
পুলিশই গুলিবিদ্ধ আরিফকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য আরিফকে যথাসময়ে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন জহিরুল ইসলাম খোকন। তিনি বলেন, ‘অনেক অনুরোধের পর মুমূর্ষু অবস্থায় গত ৭ মার্চ (শনিবার) লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে তাঁকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’
আরিফের মৃত্যুর খবর লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-সদর) মো. জুনায়েদ কাউছার এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির আহাম্মদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ওই রাতে যুবদল ও জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে জামায়াতকর্মী মাইন উদ্দিন (৩২) ও যুবদলকর্মী আরিফ হোসেন (২২) গুলিবিদ্ধ হন।’
ওই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত অপর ব্যক্তি মাইন উদ্দিন একজন প্রবাসী। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি গ্রামের বাসিন্দা।